শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

বাস্তবতার উদাহরণ

একদিন শিক্ষক ক্লাসে আসলেন এবং বোর্ডে লিখলেন-
৯ x ১ = ৭
৯ x ২ = ১৮
৯ x ৩ = ২৭
৯ x ৪ = ৩৬
৯ x ৫ = ৪৫
৯ x ৬ = ৫৪
৯ x ৭ = ৬৩
৯ x ৮ = ৭২
৯ x ৯ = ৮১
৯ x ১০ = ৯০
লেখা শেষ করে তিনি ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকালেন, দেখলেন সবাই মিটিমিটি হাসছে।
তিনি বললেন, "আমি জানি তোমরা কেন হাসছো, আমি নামতার প্রথম লাইন ভুল লিখেছি। আমি প্রথম লাইন ভুল লিখেছি তোমাদেরকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানোর জন্য।”
ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহের সাথে শুনছিলো ।
শিক্ষক আবার বলা শুরু করলেন..
দেখো, আমি নয়টা লাইন সঠিক লিখেছি।
এজন্য তোমরা আমার প্রশংসা করোনি বা ধন্যবাদও দাওনি।
অথচ একটা লাইন ভুল লিখেছি বলে হাসাহাসি করছো সমালোচনা করছো।
এটাই পৃথিবী নিয়ম, এটাই বাস্তবতা। তুমি হাজারটা ভাল কাজ করো কেউ তোমার প্রশংসা করবে না, একটা সামান্য ভুল করে দেখো পুরো পৃথিবী মাইক নিয়ে নেমে পড়বে তোমার সমালোচনা করার জন্য।
অতএব, কে কি বললো এটা কানে নিও না। সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে কিভাবে অন্যের প্রশংসা করতে হয় তারা তা জানেই না।
এদের প্রতি রাগ করো না; বরং সহানুভূতি দেখাও,
কারণ অন্যের প্রশংসা করার এই বিশেষ গুণটি তারা পায় নি।

হিংসা এবং অন্ধ ভালোবাসা

-তুমি এটা কি ভাবে করতে পাড়লা শিহাব? (তিথি)
-আমি সব করতে পারি। (শিহাব)
-কিন্তু কেনো?
-আমার পছন্দের জিনিসের দিকে কেউ নজর দিলে কাউকে ছাড়ি না।
-তাই বলে.....
-হ্যা, যে জিনিসটা আমার না সেটা কারো হতে পারে না। আমি তো তোমাকে চেয়েছিলাম আর কিছু চাইনি। তোমার জন্যে কি বা করি নি। নিজের টিউশনির টাকা বাচিয়ে তোমাকে দিয়েছি আর সেই তুমি কি না...
-কি যা তা বলছো শিহাব?
-এখন তো যা তাই মনে হবে। নতুন কাউকে পেয়েছো তাই তো আমার সব কথা ভুল আর যাতা মনে হবে।
-ছি শিহাব,
-হা হা হা
-তুমি রিফাতকেও মেরে ফেলছো। এটা কি করে পারলা, ও না তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল ।
-হ্যা রিফাত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল আর আমার জীবনের অমূল্যবান সম্পদের দিকে হাত দেয়ায় তাকেও দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দিয়েছি। হা হা হা
-আর আমি কি দোষ করেছিলাম যার শাস্তি এভাবে দিলে। খুব বেশি ভালবেসেছিলাম সেই অপরাধে নাকি?
-তুমিই তো সব নষ্টের মূলে ছিলা। তোমার জন্যে আমি রিফাতকে মেরেছিলাম। ছেদে ছিলাম অনেক বন্ধুদের সংজ্ঞ। তারা বলেছিল তুমি ভাল না তাই তাদের বিভিন্ন ভাবে শাস্তি দিয়েছি। আর সেই তুমি অন্যের সাথে ফস্টি নস্টি করছো তাই তোমাকেও দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দিয়েছি।
-হা হা হা আমি মরিনি দিব্বি বেঁচে আছি আর বেঁচে থাকব যত দিন তোমার শাস্তি হবে না।
-তুমি যিবিত থেকেও শান্তি দাও নি মরেও শান্তি দিবা না?
-হ্যা হ্যা হ্যা তোমার শান্তি নাই।
বালিশের পাশে থাকা মোবাইল টি নিয়ে তিথির দিকে ছুড়ে মারল শিহাব। আর সাথে সাথে তিথি অদৃশ্য হয়ে গেল। ফজরের আযান দেয়ার সাথে সাথেই শিহাবের ঘুম ভেজ্ঞে গেল। দরজা খোলা দেখে শিহাব ঘাবড়ে গেল। তাহলে কি তিথি বেঁচে আছে নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি। আমি তো দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়েছি তাহলে দরজা খোলা কেনো। না এ হতে পারে না। বালিশের পাশে রাখা টিশার্ট টি পরে তাড়াতাড়ি করে চলে গেল সেই যায়গায় যেখানে রিফাত আর তিথিকে মাটি চাপা দিয়ে কবর দিয়েছিল শিহাব। গিয়ে দেখে সব ঠিক আছে। তাহলে কি সব স্বপ্ন ছিল, তাহলে যে মোবাইল দিয়ে মারার পর দৌড় দিল সেটা কি ছিল? আর দরজাই বা কে খুলে দিল? এই সব চিন্তা করতে করতে বাসায় এসে পৌছায় শিহাব।
-স্যার আপনি এত সকালে তাড়াহুড়া করে কি যেন বিরবির করতে করতে কই গেছিলেন (দারোয়ান)
-সেটা কি আপনাকে বলতে হবে? আপনার যা কাজ তা করুন
এক প্রকার ধমক দিয়ে বৃদ্ধ লোকটির সাথে কথা বলল শিহাব। দারোয়ান চাচা মন খারাপ করে ভাবতে লাগল। শিহাব স্যার তো আগে এমন ছিল না সব সময় সালাম দিয়ে বাবাজি বাবাজি করে কথা বলত কিন্তু সপ্তাহ খানেক ধরে খুব বাজে ব্যবহার করতেছে কারন কী।
শিহাব রুমে গিয়ে দেখল মোবাইল টি ফ্লরে পরে আছে, আয়নার কাচ গুলা ভেজ্ঞে পুরা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।যাক অবশেষে শিহাব নিশ্চিত হল যে রাতে স্বপ্ন দেখছে।
,
এক সাপ্তাহ আগেও শিহাব ছিল শান্ত ছেলে। সে সব কিছু সহ্য করতে পারে কিন্তু তিথির অপমান আর চোখের জ্বল এই দুইটা সহ্য করতে পারে না। তিথির সাথে শিহাবের সম্পর্ক প্রায় দুই বছর। তিথি মধ্যবিও পরিবারের মেয়ে হলেও ভয়ংকর সুন্দরি ছিল।তার রুপে যে কোন ছেলে ঘাহেল হয়ে পড়বে। শিহাব ও তার ব্যতিক্রম হয় নি। 
-তিথি কই তুমি আসবা না (শিহাব)
-না আজকে আসতে পারব না, আব্বু অসুস্থ। (তিথি)
-আচ্ছা তুমি আংকেলের খেয়াল রেখ কাল দেখা হবে
- আচ্ছা বাবু
কথা বলার পর ফোন টা রেখে দিল শিহাব।
ক্যাম্পাসে যেহেতু এসেছি তাহলে রিফাতের সাথে দেখা করেই যাই এই বলে রিফাতকে ফোন দিল শিহাব
শিহাব :কই তুই রে?
রিফাত :দোস্ত আমি একটু অসুস্থ বাসায় আছি আজ আর ক্যাম্পাসে আসব না!
শিহাব :কি হইছে তোর? তুই ডাক্তার দেখাইছিস
রিফাত :হ্যা রে দেখাইছি?
এই বলে রিফাত ফোন রেখে দিল। একা একা ক্যাম্পাসে কি করবে শিহাব বুঝতেছে না। ক্লাস না করে কোথাও বসে কফি খেতে খেতে এসাইন্মেন্ট করার সিন্ধান্ত নিল। বাইক ষ্টার্ট দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে রিফাতের খুব পছন্দের রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলো। কফির অডার দিয়ে লেপটপ অন করেই একটা সুপরিচিত কন্ঠ শিহাবের কানে ভেসে উঠল। কফির মগে চুম্মক দিতে দিতে যা দেখল তা নিজেকে বিশ্বাস করতে পারল না। দুই চোখ কচলিয়ে আবার তাকাল। না আবার সেই একই জিনিস দেখল। এ কি করে সম্ভব তিথি তো বাসায় তার আব্বু অসুস্থ আর রিফাত..... তার মানে দুই জনে। না না না এ হতে পারে না, একটু আড়াল হয়ে দেখতে গেল তাদের ঘনিষ্টতা। দুই জন একে অপরের হাত ধরে বসে আছে, একটু পর পর রিফাত তিথির গালে পরা চুল গুলো শড়িয়ে দিচ্ছে।
রিফাত : তিথি আমাদের সম্পর্কের কথা যদি শিহাব জানতে পারে তাহলে দুই জনকেই মেরে ফেলবে?
তিথি : শিহাব কখনো জানতেই পারবে না আর কেউ বললেও বিশ্বাস করবে না। ঐ বলদটা আমাকে অন্ধের মত ভালবাসে আর বিশ্বাস করে।
রিফাত : আর তুমি কাকে ভালবাস?
তিথি :আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি আর কাউকে না।
রিফাত :তাহলে ওর সাথে ব্রেক আপ কর না কেনো?
তিথি : তুমি জানো তো আমার ফ্যামিলির অবস্থা, আব্বু অসুস্থ আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতে খুব কস্ট হয়, আব্বুর প্যানশনের টাকায় কি আর সংসাদ চলে। শিহাব আমার লেখাপড়ার টাকা টা দেয় তাই ব্রেক আপ করতেছি না। সময় হলেই করে দিব।
সব কথা আড়ি পেতে শুনার পর রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করল শিহাব। বাসায় গিয়ে নিজের রুমে বসে তার নিজ কানে জা শুনলো নিজেকে বিশ্বাস করাতে কেমন যেন কষ্ট হচ্ছে। যাকে নিজের ভাইয়ের মত ভালোবাসতো সেই কি না এমন করল। যে মেয়েকে নিজের পকেট খরচ আর টিউশনির কথা বলে টাকা নিয়ে যে মেয়ের পড়া শুনার টাকা দিত সেই মেয়ে বিশ্বাস ঘতকতা করল। এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল শিহাব। ঘুম থেকে উঠেই
শিহাব : দোস্ত আজ লং ড্রাইভে যাব তুই রেডি হয়ে বাসার নিচে থাক আমি আসতেছি
রিফাত : আচ্ছা তুই আয় :
প্রায় ৯ টার দিকে বেরিয়ে পড়ল শিহাব আর রিফাত। নিদিষ্ট কোন যায়গা নেই, প্রায় ২ ঘন্টা পর গাড়িটা থামাল গাজিপুরের শালবনের গভীর জংগলে।
-কিরে এখানে থামালি কেনো? (রিফাত)
-তোকে খুন করার জন্যে।( শিহাব) 
-মজা করিস
-হ্যা আবার না?
কথা শেষ করে দুই জনে কিছু ফটো তুলে পানি পান করতেছে
,
-তিথির সাথে তোর কিসের সম্পর্ক? (শিহাব)
-মানে কি? (রিফাত)
-তুই ভাল করেই জানিস মানে কি?
-না মানে শিহাব
-তোর কোন ইচ্ছা অপূর্ন রাখি নি কিন্তু তুই আমার সাথে এই বিশ্বাস ঘতকতা করতে পাড়লি। নিজের টিফিনের অর্ধেক খাওয়াতাম তোকে আর তুই কি না........
কথা গুলা বলতে বলতে পিছন থেকে রিভোলবার টা বের কিরে ট্রিগার চেপে ৩ টা গুলি বুক বরাবর বসিয়ে দিল। রিফাতকে আর কিছু বলার চান্স দিল না। গাড়ির ডিক্কি থেকে কোদাল বের করে গভীর জঙ্গলের মাঝে রিফাতের বডিটা লুকিয়ে রেখে আসল শিহাব সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে গাড়িতে উঠে পরল। যদি সিগারেট সব সময় খায় না তবে আজ খেয়েছে। 
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল শিহাব। সকালে ঘুম থেকে উঠল তিথির ফোনে আজ নয় প্রত্যেক দিন তাই হয়।
বাহ কি সুন্দর করে অভিনয় করতে পারে মেয়েটি। তাকে তো সেরা নাট্যকারের পুরস্কার দেয়া উচিত ছিল। বিরবির করতে থাকে শিহাব। ফ্রেশ হয়ে তিথিকে ফোন দিল।
,
-তোমার জন্যে একটা সারপ্রাইজ আছে (শিহাব)
হঠাৎ শিহাবের কথায় ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসল তিথি।
-কি সারপ্রাইজ (তিথি)
-গেলেই দেখতে পাবে?
-আজ না গেলে হয় না?
-আরে চল তো।
-ওকে আস।
-তুমি ক্যাম্পাসের গেটে আস আমি আসতেছি।
এই বলে ফোন রেখে দিল শিহাব। 
এক প্রকার জোরাজুরি করে নিয়ে গেল শিহাব। যদিও তিথি রাজি ছিল না তবুও গেল। এর আগে যত বার সারপ্রাইজ দিয়েছে তত বার মূল্যবান কিছু পেয়েছে। হয়ত এবার ও পাবে।
-কি এমন সারপ্রাইজ দিবা যে আমাকে বলা যাবে না?
-গেলেই দেখতে পারবে এটা তোমার জীবনের সেরা এবং শেষ সারপ্রাইজ।
-মানে কি শিহাব?
উত্তর না দিয়া গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে শিহাব। গাড়ি টা সেই গভীর জঙ্গলে নিয়ে থামাল। রিফাতের মত তিথির কত গুলা ফটো উঠাল।
-আমার সারপ্রাইজ কই? (তিথি)
-চল আমার সাথে। (শিহাব)
-হুম চল।
-এটা কি আর এখানে কি আছে জানো?
-না (কিছুটা ঘাবরে উত্তর দিল তিথি)
-এখানে তোমার আশিক আমার প্রান প্রিয় বন্ধু রিফাত চির নিদ্রায় আছে।
-মানে কি শিহাব (ভয় পেয়ে)
-যা ভাবছ তাই আর এখন তুমিও ওর সজ্ঞি হতে যাচ্ছো।
-আমার অপরাধ কি?
-অপরাধ তোমার না তিথি অপরাধ আমার যে তোমাকে নিজের থেকে বেশি ভালবেসেছিলাম আর তার প্রতিদান আমি পেয়েছি।
,
কথাটা শেষ করে তিথির বুকে ৩ টা বুলেট বসিয়ে দিল। তিথির নিথর বডিটা কোলে তুলে রিফাতের কবরের পাশে দাফন করে রেখে দিল।
,
বলেছিলাম না তুমি আমার না তো কারোই না। দেখো আজ তুমি কারোই নও। ভালবেসে বিশ্বাস করেছিলাম।আর তুমি আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পাড়লা। দিলাম তো দুই জনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে। 
তিথির লাশ টা দাফন করে বাসায় ফিরে, ফ্রেশ হয়ে বিচানায় শুয়ে পড়ল। রাত প্রায় ১২ টা এবার ঘুমানোর জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে শিহাব। চোখে ঘুম না থাকা শর্তেও তাকে ঘুমাতে হবে কিন্তু বার বার রিফাত আর তিথির কথা মনে পরতেছে। কয়েক ঘন্টা আগেই তিথিকে চির নিদ্রায় পাঠিয়েছে। যে কিনা তিথির একটু আপমান সহ্য করতে পারত না সে নিজের হাতে তিথিকে।
,
টেবিলে রিফাতের ছবি দেখে তাকে খুব মিস করছে শিহাব, তার চিন্তায় শিহাব এখন মগ্ন।
-আমার কথায় ভাবছিস তাই না? (রিফাত)
-তুই তুই এখানে কি করিস (শিহাব)
-তোকে দেখতে আসলাম।
-আমাকে দেখার কি আছে তুই একটা বেইমান,মীর জাফর ।
-হা হা হা এই জন্যে আমাকে মেরে ফেলতে পাড়লি। দেখ আমি মরি নি। বেচে আছি আর থাকব যত দিন না তুই তোর অপরাদের শাস্তি পাবি না।
.
কথা গুলা বলে অদৃশ্য হয়ে গেল রিফাত।
যত দিন যাচ্ছে শিহাবের অবনতী ঘটছে। কি সব উদ্ভট কথা বলে। সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বার বার তিথি আর রিফাতের কথা বলে। এভাবে ধীরে ধীরে প্রায় পাগলে পরিনত হল। যত দিন যাচ্ছে তার পাগলামি বেড়েই চলছে। এখন সে পাগলা গাড়দে ভর্তি অবস্থায় আছে।এখন আর রিফাত আর তিথি তার কল্পনায় আসে না আর আসলেও কেউ বুজতে পাড়ে না কারণ শিহাব এখন পাগল। পাগল তো অনেক কিছুই বলে তাই বলে কি সবাই সেই পাগলের কথা শোনে,,,,,??
,
,
(সমাপ্ত)

পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী কষ্ট

"আমি এই বাস্তব গল্পটা লেখা শেষ করে যখন পড়েছিলাম, তখন নিজেই কেঁদেছিলাম"
...
--হ্যালো আব্বা, আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--আব্বা, আমি এখন বাসের মধ্যে। পাঁচ মিনিট আগে বাস ছাড়ছে।
--বাসে সিট পেয়েছিস তো বাবা?
--জ্বী আব্বা, পেয়েছি। দোয়া করবেন, যেন ঠিকঠাক বাড়ি পৌছাতে পারি।
--ফি-আমানিল্লাহ্।
--মাকে বইলেন আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছি। তাহলে এখন রাখছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
আব্দুল্লাহ্ আজ ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। নতুন চাকরি পেয়েছে, একটা প্রাইভেট ব্যাংকে। রমজান ঈদের পরপরই জয়েন্ট করেছে সে। আব্দুল্লাহ্ ছোট বেলা থেকেই খুব পরহেজগার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। মাদ্রাসা থেকেই পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরি পাবার পর এই প্রথম সে বাড়ি যাচ্ছে। তাই সবার জন্যই ঈদের কেনাকাটা করেছে। আব্দুল্লাহর মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। কখন সে বাড়ি পৌছাবে! অনেকদিন পর বাবা, মা, ছোট ভাইকে দেখবে। শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে, তাড়াতাড়ি পথ ফুরায়না কেন!
.
এদিকে আব্দুল্লাহর বাবা রহমান মোল্লা খুশিতে যেন আত্মহারা। আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল্লাহর মাকে ডেকে বলছেন... 
--শুনছো! তোমার বড় ছেলে বাড়ির ঈদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছে। একটা মোরোগ ধরে জবাই করে দেই। খুব সুন্দর করে রান্না করো। ছেলেটা কতদিন তোমার হাতের রান্না খায়না!
.
--এই নাজিম (রহমান মোল্লার ছোট ছেলে), কই গেলি?
--এইতো আব্বা, এখানে আমি।
--তাড়াতাড়ি এদিকে আয়। একটা মোরগ ধরতে হবে। তোর ভাইজান বাড়ি আসছে আজ।
--জ্বী আব্বা, আসছি।
.
রহমান মোল্লা খুবই ধার্মিক। ছেলেদেরও বড় করেছেন সেইভাবে। ওজু করে যোহরের নামাজ পড়তে যাবে এমন সময় তার স্ত্রীকে বলছেন...
--শোনো, ছেলেতো আল্লাহর রহমতে চাকরি পেল। এখন একটা ভাল পরহেজগার মেয়ে দেখে বিয়ে দেয়া দরকার।
--এত অস্থির হইয়েননা তো। ছেলেটা মাত্র চাকরি পেল। দুই এক বছর যেতে দেননা..!
.
বাবা কিছুক্ষন পর পর ফোন দিচ্ছেন ছেলেকে। কতদুর এলো! এখন কোথায়! শুধু খোঁজ নিচ্ছে। যোহরের নামাজ পড়ে এসে আবার ফোন দিয়ে আগেই সালাম দিলেন...
--আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--এখন কোথায় বাবা?
--এইতো আব্বা, লঞ্চের মধ্যে, পদ্মা নদী পার হচ্ছি।
--আচ্ছা বাবা, দেখে শুনে আসিস। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
রহমান মোল্লা ছেলেকে নিয়ে দুপুরের খাবার একসাথে খাবেন, তাই তিনি এখন ছেলের পথপানে চেয়ে আছে..! কিছুক্ষন পর তিনি আবার আব্দুল্লাহকে ফোন দিলেন। কিন্তু এবার ছেলের নাম্বারটি বন্ধ পেলেন। কয়েকবার ট্রাই করলেন। একই কথা, নাম্বার বন্ধ। রহমান মোল্লার বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো! মনে মনে বলতে লাগলেন... "কোনো বিপদ হলোনা তো! আল্লাহ্ তুমিই হেফাজতকারী। আমার ছেলেকে রক্ষা করো।"
.
একটু পরেই রহমান মোল্লার ছোট ছেলে দৌড়ে এসে বাবাকে বললো... 
--আব্বা, টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছে, পদ্মা নদীতে দুইশত যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে! ভাইজানের নাম্বার তো বন্ধ পাচ্ছি..!
.
রহমান মোল্লা এই খবর শোনার পর তার হাত পা ঠান্ডা হতে লাগলো। চোখে যেন সবকিছু ঝাপসা দেখছেন! তার স্ত্রী কাঁন্নাকাটি শুরু করে দিলো। আনন্দ মুখোর পুরো বাড়িটা যেন এক নিমেষেই স্তব্ধ হয়ে গেল।
.
রহমান মোল্লা আব্দুল্লাহর নাম্বারটি আর খোলা পেলেননা। কোনো উপায় না পেয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে গেলেন আব্দুল্লাহকে খুঁজতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন আব্দুল্লাহ্ যে বাসে আসতেছিলো সেই বাসের সব যাত্রী ঐ লঞ্চেই ছিল। শতশত স্বজনদের কাঁন্নায় পদ্মার পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিলো। রহমান মোল্লার মনটা জেনে গিয়েছিলো তার ছেলে আর বেচেঁ নেই। এখন যেন ছেলের লাশটা খুঁজে পায় সেই আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলেন। অবশেষে ছেলের লাশ ডুবুরিরা টেনে তুললো। ছেলের লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন।
.
বাড়িতে কাঁন্নার রোল পড়ে গেল। আব্দুল্লাহর মা চিৎকার করে কাঁদছে আর বার বার মুর্ছা যাচ্ছে। রহমান মোল্লা তার স্ত্রীর মত চিৎকার করে কাঁদতে পারছেননা। দুচোখ বেয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে। আর বুকের ভেতরটা ভেঙেচুরে যাচ্ছে।
.
আসলে "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ" এর চেয়ে বড় কষ্ট আর পৃথিবীতে নেই। রহমান মোল্লার কষ্ট এখানেই শেষ নয়। তার ছোট ছেলে নাজিমও বছর দুয়েক পরে একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রহমান মোল্লা কেমন করে সহ্য করবেন এত বড় কষ্ট! দুই বছরের ব্যাবধানে তরতাজা দুই দুইটা জোয়ান ছেলের লাশ তিনি কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছেন। সে শুধু চোখের পানি ফেলছেন আর আল্লাহকে বলছেন.. "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
ঠিক এমনই এক বাবাকে আমি চিনি। যে তার দুই দুইটা সন্তানের লাশ নিজে কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছে। তরপর তার মুখ থেকে ঠিক ঐ কথাগুলোই শুনেছিলাম... "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
এটা চিরন্তন সত্য যে, আল্লাহ্ তায়ালা তার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। তিনি এক এক জনকে বিভিন্ন ভাবে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।
.
এই পৃথিবীতে এমন অনেক বাবা আছেন। যারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী কষ্টটি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। কতটা ভারী হতে পারে এই কষ্ট, তা শুধু সেই বাবা'ই অনুভব করেছেন। যে বাবা তার সন্তানের লাশ নিজের কাঁধে বহন করেছেন। আর কেউ জানেনা, আর কেউ অনুভব করতে পারেনা এটা কত বড় কষ্টের, কত বড় বেদনার... "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ!"
(সমাপ্ত)
•••
✍Ramzan Khondaker

দারিদ্র্য

স্যার একটা কথা কমু?
কি বল?
আইজ আমারে দেড়টায় ছুটি দেবেন?
কেন?কি করবি?
বাসায় গিয়া ভাত খামু।পেটে খুব ক্ষিধা
লাগছে।
কেন সকালে খেয়ে আসিস নি স্কুলে?
জ্বি না।
কেন?
স্যার তরকারি নাই।আর লবণ দিয়া ভাত
খাইতে পারি না।তাই খাইতে পারি
নাই।
কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন
�লাগল?
.
রাতে কি খেয়েছিস?
ডাইল দিয়া ভাত।
এখন কি দিয়ে খাবি?
মায় কইছে ইস্কুল ছুটির পর গেলে কচু
রাইন্ধা রাখব।হেইডা দিয়া মজা কইরা
ভাত খামু।মায় খুব মজা কইরা কচু রানবার
পারে।
কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে
পারিনি।
.
একদিন তোর মায়ের হাতের রান্না করা
কচু খেয়ে আসব।নিবি তোর বাসায়?
যাইবেন স্যার সত্য?
হ্যাঁ যাব।যা বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত
খা।
.
মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই
হাতে নিয়ে তার চলে যাওয়ার দিকে
মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে রইলাম।
তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না।
অথচ আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে
যাদের খাবারের মেনুতে কত আইটেম
থাকে।যা তারা খেয়ে শেষ করতে পারে
না।উচ্ছিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে।
এমন অনেক বাবা মা আছেন যারা
ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে
পড়ান।গাড়ি করে নিয়ে যান।ছেলের কত
আবদার!সব পূরণ করতে ব্যস্ত।অথচ রাস্তায়
পড়ে থাকা মানুষগুলোর দিকে ফিরেও
তাকান না।তাকাবেন কেন?তাকালেই
তো ঘাড়ে এসে পড়বে।আমরা তো
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।হাজার টাকার
বডি স্প্রে গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াই।
.
ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক
টাকা উড়ানোর খেলায়।কেউ পাখি,কেউ
কিরণমালা,কেউ শীলা কি জাওয়ানি
নামক উদ্ভট সব পোশাক কিনতে ব্যস্ত
হয়ে পড়ি।কিন্তু বুঝতে চাই না এই
বাইরের পোশাকগুলোতে আমাকে কি
মানাচ্ছে?অথচ একটা গরীব লোক এসে
বলছে-দুইটা টাকা দেন।তখন বলি-
ভাংতি নাই।মাফ কর।
গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে চাইনিজ এ যাই।কত
টাকা খরচ হয় হিসাব রাখি না।অথচ গরীব
রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা
বাড়াইয়া দেন।তখন তার গায়ে হাত
তুলতে দ্বিধাবোধ করি না।ঐ গরীব
লোকগুলোর অপরাধ কি?
.
অপরাধ একটাই যে
সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে গরীবের ঘরে জন্ম
দিয়েছেন।আর আপনাকে সোনার চামচ
মুখে দিয়ে কোন ধনী বাবার ঘরে।
আমি ছেলে মেয়ে কাউকে কটাক্ষ করে
এই পোস্টটা দেইনি।আমি আমাকেই
এখানে কল্পনা করছি।তাই এটা পড়ে
জানি অনেকেই আমাকে তিরস্কার
করবেন।বলবেন লাইক কমেন্ট এর আশায়
আমি এটা করেছি।একটা জোকস দিলেই
তো অনেক লাইক পাওয়া যায়।
তাহলে এত
সময় কষ্ট করে পোস্ট লেখলাম কেন?
"এটার কারণ শুধু আমাদের ঘুমন্ত
বিবেকটাকে একটু জাগ্রত করতে

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

বাস্তবতা

আজ আমাদের এলাকার স্কুল থেকে ক্লাস টেন-এ পড়ুয়া একটি ছেলে তার প্রিয়তমাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে!!! ব্যাপারটা সবার কাছে হাস্যকর মনে হলেও আমার কাছে খুব ভালো লাগলো! তাই ত্যায়িবাকে ফোন দিলাম......
- জান চলো পালিয়ে যায়.....
- কোথায়?
- অনেক দূরে! যেখানে কেউ আমাদেরকে চিনবে না!
- সত্যি?
- হুম সত্যি!
- কিন্তু আমার'যে ফ্রেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা। 
- ওহ্ তাহলেতো সমস্যা! আচ্ছা তুমি পরীক্ষা শেষ করো। তারপর দুজন মিলে পালিয়ে যাব। কেমন?
- হুমম। 
- সত্যি'তো? 
- হ্যা বাবা সত্যি!
.
আমার মাথায় এবার পালিয়ে যাবার ভূত চেপেছে! তাই প্রস্তুতি নিচ্ছি! 
কিন্তু শালার পরীক্ষা এখনো শেষ হচ্ছে না কেন!?!!
আমার'যে আর তর সইছে না। এভাবে একমাস চলে গেল! ত্যায়িবাকে ফোন দিলাম, - জান তোমার পরীক্ষা কোনদিন শেষ হবে?
- এইতো বাবু আর মাত্র ১৫দিন।
- ওহ্! 
- তুমি এতো পাগল কেন তাহসিন?
- কেমন?
- কিছুদিন আগে বললা নদীভ্রমনে যাবা! গেলাম.... আবার ইদানিং বলছো পালিয়ে যাবা! তাও নাহয় গেলাম....
কিন্তু আমারে খাওয়াবা কি?
- ৩বেলা ভাত তার সাথে নদীর তাজা মাছ! 
- হা হা হা আমার পাগল!
- হাসছো কেন ত্যায়িবা?
- তোমার কাব্যে আমি মুগ্ধ! কিন্তু টাকা পাবা কোথ্থেকে সেটাই জানতে চাচ্ছি!
- সে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না! অনার্সটা শেষ হলে কমপক্ষে প্রাইমারী স্কুলে চাকরি পাব! বেতন পাব ১৮হাজার! সবমিলিয়ে ভালোই চলবে.....
- সব দেখছি প্লানিং করা!!!
- হুম! আরেকটা প্লান আছে!
- কি?
- তোমাকে বিয়ে করে একটা ক্রিকেট টিম গঠন করবো।
- মানে?
- মানে প্রতিবছরে ১জন করে, ১১বছরে পুরো একটা ক্রিকেট টিম!!!
- হা হা হা পাগল একটা......!
- তোমাকে দেখার পর থেকেই! 
- আচ্ছা এখন ঢং বাদ দাও!
- তো কি করবো?
- আমাকে জৈবযৌগ অধ্যায়টা একটু বুঝিয়ে দাও!
- পারবো না! আমি কি তোমার টিচার?
- হুম, টিচার+বর!
- আচ্ছা বই খুলে পড়তে থাক! না বুঝলে ফোন দিও....
.
বলেই ফোন রেখে দিলাম! কারন আমি জৈবযৌগ অধ্যায়ের বিদ্বেষী ছাত্র। 
.
পালিয়ে যাবার প্রতিক্ষায় বসে আছি! জায়গাটাও ঠিক করা! যেখানে গেলে কেউ আমাদের খোঁজ পাবে না। কক্সবাজার, ত্যায়িবাকে নিয়ে প্রতিদিন সমুদ্রের ঢেউ দেখবো। 
.
অবশেষে প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হলো! অর্থাৎ ত্যায়িবার পরীক্ষা সমাপ্ত হলো।
বালিকাকে ফোন দিলাম, - ওই পাগলী পরীক্ষা শেষ হইছে!
- হুম পাগল শেষ হইছে!
- তাহলে চলো এবার পালিয়ে যায়......!
- জান একটা সমস্যা হয়ে গেছে!
- কি হইছে?!!
- বাড়িতে আমার বিয়ের কথা চলছে!
- বলোকি?!!! 
- হুম।
- তাহলে চলো আগামীকাল ই ভাগি! 
- না তাহসিন, আমার প্রস্তুত হতে একটু সময় লাগবে!
- তাহলে? 
- শুক্রবার সন্ধ্যার পর......
- ওকে!
.
.
আজ শুক্রবার! আমি টাকাপয়সা, ব্যাগপত্র সব গুছিয়ে একটা অটো নিয়ে ত্যায়িবার বাড়ির দিকে যাচ্ছি।
বাড়ির কাছে যাওয়ার পর লক্ষ্য করলাম, ওর বাড়ির ভিতর থেকে একটা গাড়ি বের হচ্ছে! সেই গাড়ির ভিতর বধূ-ভেসে বসে আছে আমার ত্যায়িবা তার পাশেই বসে আছে এক রাজপুত্র! দুজনকে মানিয়েছে ভালো। 
আমি গাড়ির দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগলাম, - পালিয়ে গেলে তুমি?!! আমাকে একা ফেলেই পালিয়ে গেলে......!!!
.
.
লেখাঃ Akram Hussain Tahosin

প্রতিশোধের স্পৃহা

- আমাদের তো বিয়ে হতে চললো।তোমার অনুভূতি কেমন রাইসা? (তাহসীন)
- ভালোবেসেছি সারাজীবন একসাথে কাটানোর জন্য। কাল তার বাস্তবে রুপান্তরিত হচ্ছে।অনেক ভালো লাগছে।
- সত্যি ,ভালোবাসা থেকে পরিনয়।
.
কথা হচ্ছিলো তাহসীন আর রাইসার মধ্যে।একে অপরকে ভালোবাসে।সেই ভালোবাসা কাল বাস্তবে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে।খুব খুশি তাহসীন।রাইসাও অনেক আনন্দিত।
.
২ বছর চুটিয়ে প্রেমের পর কালকের এই শুভ কাজ।পরিবারিকভাবে বিয়েটা সংঘটিত হচ্ছে।তাইতো দুই বাড়িতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
.
বিয়ে করে নতুন বউকে বাড়িতে এনেছে তাহসীন।আজকে রাইসাকে খুব সুন্দর লাগছে।সারা দেহে যেন গহনা শুশোভীত।তাহসীন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে রাইসার দিকে। রাইসা তার মুখেটা সরিয়ে নিয়েছে।
.
- এই যে দুষ্টু মেয়ে,মুখটা সরালে কেন? (তাহসীন)
- না সরালে যে লোভ সামলাতে পারবে না।
- কিসের লোভ? ওটাতো আমার অধিকার। 
- এই যাহ! লজ্জাও করে না বুঝি এসব বলতে।
.
বাসরঘরের খাটে বসে রাইসার সাথে কথা হচ্ছিলো তাহসীনের।এমনসময় বিছানা থেকে উঠে দুধের গ্লাসটা তাহসীনের সামনে এগিয়ে দেয় রাইসা।
- এটা আবার কি?(তাহসীন)
- দুধ।দেখতেই তো পারছো।
- হুম।তা দুধ দিয়ে কি হবে?
- বিয়ের রাত্রিতে খেতে হয়।
- আগে তুমি খাও তারপর আমি।
.
নিজেও পান করতে বাধ্য হলো রাইসা।তারপর নিজ হাতে তাহসীনকে খাইয়ে দিলো।তাহসীন স্ত্রীর হাতের বাকি সবটুকু দুধ পান করে নিলো।অতঃপর রাইসা জোরে জোরে হাসতে থাকে।
- একি তুই এতো জোরে হাসছো কেন?
- প্রতিশোধ নিয়েছি আমি।তাই হাসছি।
.
প্রতিশোধের কথা শুনে কিছুটা আশ্চার্য হয়ে যায় তাহসীন।এরি মধ্যে বুকটা চিনচিন করতে থাকে।
- কিসের প্রতিশোধ? কার প্রতিশোধ?
- আমার বোনের প্রতিশোধ। মনে পড়ে তাহসীন মেঘলার কথা?
- মেঘলা!
- হ্যাঁ মেঘলা।যাকে তুমি ভালোবাসার দোহাই দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছিলে।যখন সে প্রেগন্যান্ট হলো তাকে তুমি অস্বীকার করলে।পরে সে আত্মহত্যা করেছিলো।মনে পড়ে তাহসীন?
.
রাইসার কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে যায় তাহসীন।মেঘলা! সেতো তার অতীত স্বৃতি।যার পরে অনেক কেঁদেছে সে।তওবা করেছে আল্লাহর দরবারে।সে জানে নাহ! আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছে কি না।
.
মেঘলা খুব ভালোবাসতে তাহসীনকে। কিন্তু তাহসীন শুধু মেঘলার যৌবনের স্বাদ গ্রহনের জন্য তাকে ভালোবেসে দিনে পর দিন তার সাথে অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলে।মেঘলা ভালোবাসার কারনে এটি মেনে নিয়েছিলো।কিন্তু তাহসীন শেষ অবধি তা মেনে নেয় নি।দূরদূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিলো।
.
- তুমি তাহলে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে রাইসা?
- বিশ্বাস! এটা শব্দ তোমার মতো ছেলেদের মুখে মানায় না।তোমাকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলো আমার আপা।
- ভুল করেছি আমি।কিন্তু শোধরানোর মতো সময় সে আমাকে দেয় নি।আজকে আমি আগের সেই তাহসীন নই।
- পুরুষ মানুষেরা সবই এক।
- ভুল ধারনা তোমার রাইসা।সবাইকে এক নয়।
.
কথাটা বলতে বলতে গভীর ঘুমে লুটিয়ে পড়লো তাহসীন।তাহসীনের এরুপ অবস্থা দেখে জোরে হেসে উঠলো রাইসা।চিৎকার করে বলতে লাগলো, "আপা আমি পেরেছি।তোমার মৃত্যুর বদলা আমি নিয়েছি।"
.
অতঃপর রাইসারও গভীর ঘুমে লুটিয়ে পড়লো।দুদিকে দুজন তরুন তরুনী।বাসর ঘর হয়ে গেল খাখা।
.
.
"সাজ্জাদ আলম বিন সাইফুল ইসলাম

পাগলির পাগলামি

........... " পাগলির পাগলামি "..........
:
:
:
রাত আনুমানিক দুইটার মত ,, 
ফোন টা বেজে উঠলো , 
ঘুমের ভানে ফোনের স্ক্রীনে চোখ বুলালাম, 
রিসিভ করতে করতে কেটে গেল।
.
আবার ফোন আসল, ভাল করে স্ক্রীন এ তাকিয়ে দেখলান সারা ফোন দিচ্ছে,
বুঝলাম না , এত রাতে আবার কি হল, ফোন টা কেটে দিয়ে সারার সাথে কথা বলারর জন্য ফেবুতে ঢুকলাম।
দেখলাম ফোন কাটার পর পরই সেও ঢুকেছে ।
.
ব্যস জিজ্ঞাসা করলাম ,
কি ব্যপার এত রাতে ফোন দিলি যে কি হয়েছে ? কিছু না বলে সে বলল :ঘুম আসছে না,
তাই সে আমায় ফোন দিল। 
আমি বললাম তোর ঘুম আসছে না দেখে কি আমায় ঘুমাতে দিবি না ? 
.
তার পর বললাম তুই কই আছিস রে এখন? 
জিজ্ঞাস করার কারণটি হচ্ছে : যে ওর ঘরে নেটওয়ার্ক কম থাকে মাঝে মাঝে।
.
সারা বলল : ঘরে নেটওয়ার্ক নেই তাই বাইরে এসে তোকে কল দিলাম ,
বাইরে দাড়িয়ে আছি।
আমি বললাম তুই এই শীতের রাতে বাইরে এসে কল দিছিস এত রাতে !
এ কোন গ্রহের পাগলি !
হে আল্লাহ্‌।
.
সে বলল : হ্যা , তো কি হয়েছে ?
আমি বলল না কিছু হয়নি ?
তার পর বললাম তুই ঘরে আসবি কি না বলত?
ও বলল : যে , ঘরে গেলে নেট থাকে না তাই সে বাইরে এসেছে আমার সাথে কথা বলার জন্য।
আমি আবার বললাম ঘরে যাবি কি না বল? 
.
সে বললো : ঘরে যাব তার আগে ভালোবাসি বল?
আমি বললাম : পাগলামি না করে ঘরে যা আগে ।
সারা : বলল আগে ভালোবাসি বল,
তাত পর ঘরে যাব ?
সে নাছোড় বান্দা যেটা বলবে সেটাই করতে হবে।
অবশেষে সেই কথাই বললাম ,
যে বাবু আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি।
আমার জীবনের একটি অংশের মত তোমায় মনে করি ।
তোমায় খুব ভালবাসি বাবু।
এখন ঘরে আয় বাবু ?
ভালবাসি বলার পর সে বলল এখন ঘরে যাচ্ছি ।
আমি বললাম হা আসো এই মুর্হত্বে। 
.
তার পর সে বলল যে ঘরে গেলে যে নেটওয়ার্ক থাকে না ?
তোমার সাথে কথা বলতে যে অসুবিধা হবে ?
আমি বললাম : হোক তবুও ঘরে আয়।
এসব বলার পর সে ঘরে আসলো।
.
আমি বললাম এত রাতে তোর যত পাগলামি তাই না ?
সারা বললো : ঘুম ভেংগে গিয়ে যে আর ঘুম আসে না তো কি করব তা, তাই তোর সাথে কথা বলার জন্য বাইরে গেছিলাম?
আর তুই যে ঘুম যাওয়ার আগে ভালবাসি কথাটি না বলে ঘুমিয়েছিলি।
তুই খালি বকতেছিস কিন্তু এখন আমায়?
.
আমি বললাম : না বকব তো তোকে আদর করব, তোকে ফিডার খাওয়াব ?
.
কিছুক্ষণ নিশ্চুপ সে ,
বুঝলাম এবার রাগ হয়ে গেছে ?
তাই কি আর করা যায় ?
ডাকতে শুরু করলাম। 
বাবু কই গেলি ?
কথা বল আমি জেগে আছি তো? উত্তর না পেয়ে বললাম ?
বাবু বাসায় আছেন কি ? 
তবুও ওই কথা বলছে না। 
.
উত্তর না পেয়ে সর্বশেষ বললাম বাবু কান ধরছি ,
আর তোমায় বকব না?
কান ধরে আছি বাবু ? 
.
কিছুক্ষণ পর এক গাদা এস এম এস আসল : এই কান ধরলে কিন্তু আমি নিজের গাঁয়ে নিজে নিজে আঘাত করব ?কান ছাড়?
আমি বললাম কান ছাড়ব না তো?
তোকে গালি দিয়েছি, তাই তুই রাগ করেছিস সে জন্য এটা আমার শাস্তি ?
.
সারা বলতেছে :
যে তুই যদি কান না ছাড়িস, 
তাহলে কিন্তু আমি নিজের গাঁয়ে নিজে নিজে আঘাত করব আর বাইরে শিতে গিয়ে বসে থাকব?
আমি বললাম ঠিক আছে আপু কান ছাড়ছি।এবার খুশি?
সারা বলল না খুশি না?
.
আমি বললাম কেন খুশি না?
কি করতে হবে তা এখন আমায় :
সারা বলতেছে যে আমায়, 
ভালোবাসি বল আগে আরোও ?
আমি বললাম এটা কোন গ্রহরের পাগলি রে বাবা ?
সারা বলল কি বললি : হ্যা আমি তো পাগলি তবে তোর বুকের হৃদয় গ্রহের পাগলি।
আমি বললাম নে ঠিক আছে ।
তোর টাই ঠিক।
.
সারা বলতেছে ভালোবাসি বলবি কি না বল ?
আমি বললাম বলতেছি রে বাবু দ্বারা :
বলতে লাগলাম ,
বাবু আমি তোমাকে না খুব..............
বলে কিছুক্ষণ আটকে থাকলাম ,,,,
সারা বললো বল কি বল?
..................................
.......................
তার পর আবার বলতে লাগলাম যে বাবু আমি না তোমাকে খুব খুব খুব খুব খুব ভালোবাসি।
তোমায় খুব ভালবাসি বাবু।
.
তখন সারা উত্তর দিল আমি তোমাই খুব ভালবাসি বাবু।
আমি বললাম এবার খুশি তুই?
সারা বলল : হ্যা খুব খুব খুশি। 
.
কথা চলতে চলতেই ফযরের আযান দিয়ে দিল।
সারা বলতেছে আমায় : এখনে উঠ নামায পড়তে যা। আর আমিও পড়ে নিচ্ছি। নামায পড়ে আয় আমি কথা বলব ?
.
কি আর , প্রত্যহ রুটিন অনুযায়ী নামায সেরে এসে দেখি সারা ম্যাসেজ দিয়েছে?
এসেছিস :আমি বল্লাম হ্যা।
তখন সারা বললো : তো এখন তুই পড়তে বস?
আমি ঘুমাই?
.
কি দস্যি মেয়েরে বাবা।
সারা বলল কি বললি?
আমি বললাম না কিছু না তো ? 
তুই ঘুমা আমি পড়তেছি।
সালার আমি তো অবাক, 
ওয় ঘুমাবে আর আমায় পড়তে হবে ?
কি পাগলি আর তার কি রকম পাগলামি।
আর এটাই হল "পাগলির পাগলামি "।
:
:
লেখা : MD Hazrat Ali

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

ইংল্যান্ডের একটি শহরে প্রকাশ্যে মানুষের মাংস বিক্রি

এক ছুটির দিন সকালে বাজারে গেলেন মাংস কিনতে। গিয়ে দেখলেন মাংসের দোকানটির হুক থেকে ঝুলছে মানুষের হাত-পা, মাথাসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। সদ্য কেটে ঝুলিয়ে রাখা এসব মাংস খণ্ড থেকে টুপটুপ ঝরছে রক্ত। নিশ্চিত বলা যায়, ছুটির দিনের আমেজটা নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে। ভিডিওটি দেখুন এখানে
হরর ফিল্মের মতো শোনালেও বাস্তবে কিন্তু লন্ডনে এমন একটি দোকান খোলা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র সম্পূর্ণ মানব মাংসের দোকান। লন্ডন শহরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের একটি এলাকা স্মিথফিল্ড। এলাকাটি বিখ্যাত এর শতাব্দীপ্রাচীন মাংসের পাইকারি বাজারের জন্য। সেখানে গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে মানুষের মাংস বিক্রির দোকান খোলে ওয়েস্কার অ্যান্ড সন্স। তবে মাত্র দু’দিন চালু ছিল দোকানটি কেন তাদের এমনতর ব্যবসা আর কেনইবা বন্ধ হয়ে গেল_ সে কথাটি সব শেষেই না হয় বলা যাক।এক ছুটির দিনেই অদ্ভুত এ ব্যবসাটি শুরু করে ওয়েস্কার। দোকানের শাটার তোলার পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় বাজারে।
দেখা যায়, দোকানের দুই পাশে ও সামনের সারি সারি হুক থেকে ঝুলছে মানুষের তাজা হাত-পা, মাথা, কান, পাঁজর এমনকি নাড়িভুঁড়িও। টুপ টুপ করে রক্ত ঝরছে এগুলো থেকে। দোকানের ভেতরেও স্টেইনলেস স্টিলের টেবিল ও কাচের শোকেসে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। পলিথিনে মুড়িয়ে আস্ত মানবদেহও রাখা হয়েছে। প্রতিটি‘মাংস খণ্ডের’ সঙ্গেই মূল্য সংবলিত কাগজ লাগানো রয়েছে।
তাতে হাতের মূল্য লেখা হয়েছে ৫.৯৯ পাউন্ড, পা ৬ পাউন্ড, উরুর মূল্য ২.৯৯ পাউন্ড। দোকানটি চালু করার আগে একটি ওয়েবপেজও খোলে ওয়েস্কার অ্যান্ড সন্স। শুধু তাই নয়, মানব মাংস ভক্ষণ বা নরখাদক বিষয়ে একটি বিতর্কেরও আয়োজন করা হয়। ব্যাপক প্রচারণা ও উদ্ভট আইডিয়ার কারণে দু’দিনেই দোকানের সব ‘মাংস’ বিক্রিও হয়ে যায়।
আসলে দোকানটি খোলা হয়েছিল ওই দু’দিনের জন্যই। ওই সেপ্টেম্বরের দিকেই বাজারে আসে ভিডিও গেম ‘রেসিডেনশিয়াল এভিল ৬’। ব্যাপক জনপ্রিয় হরর ধাঁচের এ গেমটির সিরিজগুলো ১৯৯৬ সাল থেকে তৈরি করছে ক্যাপকম নামের একটি ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গেমটি যেমন জনপ্রিয়, তেমনি বিতর্কিতও। সিরিজের নতুন গেমটি বাজারে ছাড়া উপলক্ষে ব্যাপক প্রচারণার সিদ্ধান্ত নেয় ক্যাপকম। দায়িত্ব দেওয়া হয় খাবার-দাবারের শিল্পসম্মত উপস্থাপনার জন্য খ্যাতিমান শিল্পী শ্যারন বেকারকে।
তিনিই সেই মানব মাংসের দোকানের উদ্যোক্তা। তার ডিজাইনেই দোকানে ‘শোভা’ পেয়েছে ‘মাংসগুলো’। ব্রিটেনে কিংবা কোনো সভ্য দেশেই মানুষের মাংস বিক্রি বা খাওয়ার আইনি বৈধতা নেই। তারপরও ওয়েস্কার অ্যান্ড সন্স এ কাজ করতে পেরেছিল। কারণ দোকানে ঝোলানো মাংসগুলো মানুষের ছিল না। ছিল গরু, ছাগল ও শূকরের! শ্যারন শুধু ওইসব পশু মাংসকে মানুষের অঙ্গের আকৃতিতে উপস্থাপন করেছিলেন। এ জন্য তিনি প্রথমেই নিজের শরীরের বেশকিছু ছাঁচ তৈরি করেন। সেই ছাঁচ অনুযায়ী, পশুর মাংস ব্যবহার করে ‘মানুষের’ ওইসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করা হয়। ক্যাপকম কর্তৃপক্ষ বলছে, গেমটি যে বাস্তবের মতোই তা বোঝাতে তারা এ ধরনের ‘বিজ্ঞাপন’ দেয়। উদ্ভট বা বীভৎস যাই হোক অবিক্রীত থাকেনি কিছুই। বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ দেওয়া হয় ব্রিটেনের লাইম্বলেস অ্যাসোসিয়েশনকে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারানো মানুষদের কল্যাণে এ সংস্থাটি কাজ করে। অবশ্য খাবারের আইটেমের ক্ষেত্রে এমন কাণ্ড আরও আছে। মানুষের অঙ্গপ্রতঙ্গের আকৃতি দিয়ে তৈরি পাউরুটির একটি দোকান কিছুদিন ব্যবসা করে থাইল্যান্ডে। মাথার খুলির আকৃতির চকোলেটও বিক্রি হয়েছে একসময়।
তবে পরবর্তীতে এই দোকানের ভিডিও’র অংশবিশেষ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়, এই ভিডিও’র খন্ডচিত্র দেখিয়ে বলা হয়, ম্যাকডোনাল্ডে মানুষের মাংস খাওয়ানো হয়। আরো অনেক রকম গুজব।