সাল থাকবে তখন, ২০৬১। অনেক বৃদ্ধ হয়ে গেছি, ঠিক
মত চোখে দেখি না। চাশমাটা চোখে দিয়ে নাতির রুমে
গিয়ে দেখি নাতি ফেসবুক চালাচ্ছে। আমাকে বললো দাদু
তুমি লেপটপ দেখ আমার একটা কাজ আছে ১ঘন্টা পর
আসতেছি। নাতির ফেসবুক চালানো দেখে আমারও
ফেসবুকে চালাতেইচ্ছা করলো, সেই কবেফেসবুকে লগ
ইন।করেছিলাম মনে নাই। অনেক কষ্টে পাসওয়ার্ড টা
মনে করে ফেসবুকে লগ ইন করলাম,লগ ইন করেই দেখি
আমার নাতির বয়সী। কয়েকজন রিকুয়েস্ট পাঠাইছে,
আবার মেসেজও দিছে। মেসেজে লেখা আমি সেলিব্রেটি
এক্সেপ্ট প্লিজ, আমি লাইকার এক্সেপ্ট প্লিজ, এই
রকম আরও অনেক কিছু। ফ্রেন্ডলিস্ট এ ডুকে দেখি
ফ্রেন্ড ৪২০২টা। এই ফ্রেন্ডগুলোএড করতে প্রায় ৬
বছর লাগছে। আর এখন ৬ দিনেই নাতিরা ৫ হাজার
ফ্রেন্ড করে ফেলে। দিন অনেক বদলীয়ে গাছে। ফ্রেন্ড
লিস্ট এ এত ফ্রেন্ড কিন্তু চ্যাটে ছিলো মাএ ৩৩ জন।
গিয়ে দেখি একটাও পরিচিত না। তারপর ফ্রেন্ড লিস্ট
এ ডুকালাম আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর আইডিতে ডুকে
দেখলাম। অনেক দিন হলো লগ ইন করে না। ব্যস্ততার
জন্য আমি তার খোজ খবরনেইনি, সেও চেষ্টা করেনি।
খবর নিয়ে জানতে পারলাম অনেক আগেই মারা গেছে।
কিন্তু, স্বযত্নে পরে আছে তার ফেসবুক আইডি। আমার
যে বন্ধুটি সব সময় লাইক কমেন্টস নিয়ে ব্যস্ত
থাকতো, তার লাস্ট স্ট্যাটাসে দেখি ৪ হাজার লাইক।
অনেক বছর হলো সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুটি মারা গেছে
আইডিতে তার ছবিটা দেখে তার রক্তাক্ত শরীরের দৃশ্য
চোখে ভেসে উঠলো।যে বন্ধুটি পেইজ নিয়ে বেস্ত
থাকতো আজ তারপেইজ পরে আছে। কিন্তু, সে নেই,
ব্লাড ক্যান্সারেঅনেক অগেই মারা গেছে। যে বন্ধুটি
দিন রাত ২৪ঘন্টা ফেসবুক চালাতো আজ সে ফেসবুকেই
আসতে পারে না। কারন, সে প্যারালাইজড। ফ্রেন্ড
লিস্ট এ এখনওআইডিটা চকমক করছে ফেসবুকের
জনপ্রিয় লেখক ছিলো যে বন্ধুটি, তার লাস্ট স্ট্যাটাসে
এখনো ভালো ভালো কমেন্টস পরতেছে। কিন্তু, সে কোন
রিপ্লাই করতেপারছে না, কারন সে আর নেই!যেসব
বান্ধবীদের সারাদিন জ্বালাতাম আজ তারাআমার মত
নাতি- নাতনী নিয়ে বেস্ত। ফেসবুকে আসার সময়ই পাই
না। আরও চেনা অচেনা অনেকের আইডি নষ্ট হয়ে
গেছে। অনেকেই আমার মত বৃদ্ধ হয়ে গেছে।তাই
ফেসবুকে আসে না! জানা অজানা অনেকেই মারা গেছে।
কিন্তু, পরে আছে তাদের প্রিয় ফেসবুক আইডি।
বন্ধুদের সাথে চ্যাট করা মেসেজ গুলো দেখেই শব্দকরে
হেসে উঠলাম। যখন মনে হলো তারা আর এই পৃথিবীতে
নেই, মুহুর্তেই গা শিউরে উঠে চোখের জলে।দাড়ি ভিজে
গেলো।এটাই জীবন একদিন আমাকেও চলে যেতে হবে
এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু পরে রবেআমার সেই
স্মৃতি মাখা প্রিয় ফেসবুক আইডি।তারপর আস্তে
আস্তে তলিয়ে যাবো, কেও আমাকেআগের মত খুঁজবে
না!চোখের পানিটা মুছে লগ আউট করলাম! হয়ত এটাই
আমার জীবনের লাস্ট ফেসবুক চালানো..
মত চোখে দেখি না। চাশমাটা চোখে দিয়ে নাতির রুমে
গিয়ে দেখি নাতি ফেসবুক চালাচ্ছে। আমাকে বললো দাদু
তুমি লেপটপ দেখ আমার একটা কাজ আছে ১ঘন্টা পর
আসতেছি। নাতির ফেসবুক চালানো দেখে আমারও
ফেসবুকে চালাতেইচ্ছা করলো, সেই কবেফেসবুকে লগ
ইন।করেছিলাম মনে নাই। অনেক কষ্টে পাসওয়ার্ড টা
মনে করে ফেসবুকে লগ ইন করলাম,লগ ইন করেই দেখি
আমার নাতির বয়সী। কয়েকজন রিকুয়েস্ট পাঠাইছে,
আবার মেসেজও দিছে। মেসেজে লেখা আমি সেলিব্রেটি
এক্সেপ্ট প্লিজ, আমি লাইকার এক্সেপ্ট প্লিজ, এই
রকম আরও অনেক কিছু। ফ্রেন্ডলিস্ট এ ডুকে দেখি
ফ্রেন্ড ৪২০২টা। এই ফ্রেন্ডগুলোএড করতে প্রায় ৬
বছর লাগছে। আর এখন ৬ দিনেই নাতিরা ৫ হাজার
ফ্রেন্ড করে ফেলে। দিন অনেক বদলীয়ে গাছে। ফ্রেন্ড
লিস্ট এ এত ফ্রেন্ড কিন্তু চ্যাটে ছিলো মাএ ৩৩ জন।
গিয়ে দেখি একটাও পরিচিত না। তারপর ফ্রেন্ড লিস্ট
এ ডুকালাম আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর আইডিতে ডুকে
দেখলাম। অনেক দিন হলো লগ ইন করে না। ব্যস্ততার
জন্য আমি তার খোজ খবরনেইনি, সেও চেষ্টা করেনি।
খবর নিয়ে জানতে পারলাম অনেক আগেই মারা গেছে।
কিন্তু, স্বযত্নে পরে আছে তার ফেসবুক আইডি। আমার
যে বন্ধুটি সব সময় লাইক কমেন্টস নিয়ে ব্যস্ত
থাকতো, তার লাস্ট স্ট্যাটাসে দেখি ৪ হাজার লাইক।
অনেক বছর হলো সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুটি মারা গেছে
আইডিতে তার ছবিটা দেখে তার রক্তাক্ত শরীরের দৃশ্য
চোখে ভেসে উঠলো।যে বন্ধুটি পেইজ নিয়ে বেস্ত
থাকতো আজ তারপেইজ পরে আছে। কিন্তু, সে নেই,
ব্লাড ক্যান্সারেঅনেক অগেই মারা গেছে। যে বন্ধুটি
দিন রাত ২৪ঘন্টা ফেসবুক চালাতো আজ সে ফেসবুকেই
আসতে পারে না। কারন, সে প্যারালাইজড। ফ্রেন্ড
লিস্ট এ এখনওআইডিটা চকমক করছে ফেসবুকের
জনপ্রিয় লেখক ছিলো যে বন্ধুটি, তার লাস্ট স্ট্যাটাসে
এখনো ভালো ভালো কমেন্টস পরতেছে। কিন্তু, সে কোন
রিপ্লাই করতেপারছে না, কারন সে আর নেই!যেসব
বান্ধবীদের সারাদিন জ্বালাতাম আজ তারাআমার মত
নাতি- নাতনী নিয়ে বেস্ত। ফেসবুকে আসার সময়ই পাই
না। আরও চেনা অচেনা অনেকের আইডি নষ্ট হয়ে
গেছে। অনেকেই আমার মত বৃদ্ধ হয়ে গেছে।তাই
ফেসবুকে আসে না! জানা অজানা অনেকেই মারা গেছে।
কিন্তু, পরে আছে তাদের প্রিয় ফেসবুক আইডি।
বন্ধুদের সাথে চ্যাট করা মেসেজ গুলো দেখেই শব্দকরে
হেসে উঠলাম। যখন মনে হলো তারা আর এই পৃথিবীতে
নেই, মুহুর্তেই গা শিউরে উঠে চোখের জলে।দাড়ি ভিজে
গেলো।এটাই জীবন একদিন আমাকেও চলে যেতে হবে
এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু পরে রবেআমার সেই
স্মৃতি মাখা প্রিয় ফেসবুক আইডি।তারপর আস্তে
আস্তে তলিয়ে যাবো, কেও আমাকেআগের মত খুঁজবে
না!চোখের পানিটা মুছে লগ আউট করলাম! হয়ত এটাই
আমার জীবনের লাস্ট ফেসবুক চালানো..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন