"আমি এই বাস্তব গল্পটা লেখা শেষ করে যখন পড়েছিলাম, তখন নিজেই কেঁদেছিলাম"
...
--হ্যালো আব্বা, আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--আব্বা, আমি এখন বাসের মধ্যে। পাঁচ মিনিট আগে বাস ছাড়ছে।
--বাসে সিট পেয়েছিস তো বাবা?
--জ্বী আব্বা, পেয়েছি। দোয়া করবেন, যেন ঠিকঠাক বাড়ি পৌছাতে পারি।
--ফি-আমানিল্লাহ ্।
--মাকে বইলেন আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছি। তাহলে এখন রাখছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
আব্দুল্লাহ্ আজ ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। নতুন চাকরি পেয়েছে, একটা প্রাইভেট ব্যাংকে। রমজান ঈদের পরপরই জয়েন্ট করেছে সে। আব্দুল্লাহ্ ছোট বেলা থেকেই খুব পরহেজগার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। মাদ্রাসা থেকেই পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরি পাবার পর এই প্রথম সে বাড়ি যাচ্ছে। তাই সবার জন্যই ঈদের কেনাকাটা করেছে। আব্দুল্লাহর মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। কখন সে বাড়ি পৌছাবে! অনেকদিন পর বাবা, মা, ছোট ভাইকে দেখবে। শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে, তাড়াতাড়ি পথ ফুরায়না কেন!
.
এদিকে আব্দুল্লাহর বাবা রহমান মোল্লা খুশিতে যেন আত্মহারা। আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল্লাহর মাকে ডেকে বলছেন...
--শুনছো! তোমার বড় ছেলে বাড়ির ঈদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছে। একটা মোরোগ ধরে জবাই করে দেই। খুব সুন্দর করে রান্না করো। ছেলেটা কতদিন তোমার হাতের রান্না খায়না!
.
--এই নাজিম (রহমান মোল্লার ছোট ছেলে), কই গেলি?
--এইতো আব্বা, এখানে আমি।
--তাড়াতাড়ি এদিকে আয়। একটা মোরগ ধরতে হবে। তোর ভাইজান বাড়ি আসছে আজ।
--জ্বী আব্বা, আসছি।
.
রহমান মোল্লা খুবই ধার্মিক। ছেলেদেরও বড় করেছেন সেইভাবে। ওজু করে যোহরের নামাজ পড়তে যাবে এমন সময় তার স্ত্রীকে বলছেন...
--শোনো, ছেলেতো আল্লাহর রহমতে চাকরি পেল। এখন একটা ভাল পরহেজগার মেয়ে দেখে বিয়ে দেয়া দরকার।
--এত অস্থির হইয়েননা তো। ছেলেটা মাত্র চাকরি পেল। দুই এক বছর যেতে দেননা..!
.
বাবা কিছুক্ষন পর পর ফোন দিচ্ছেন ছেলেকে। কতদুর এলো! এখন কোথায়! শুধু খোঁজ নিচ্ছে। যোহরের নামাজ পড়ে এসে আবার ফোন দিয়ে আগেই সালাম দিলেন...
--আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--এখন কোথায় বাবা?
--এইতো আব্বা, লঞ্চের মধ্যে, পদ্মা নদী পার হচ্ছি।
--আচ্ছা বাবা, দেখে শুনে আসিস। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
রহমান মোল্লা ছেলেকে নিয়ে দুপুরের খাবার একসাথে খাবেন, তাই তিনি এখন ছেলের পথপানে চেয়ে আছে..! কিছুক্ষন পর তিনি আবার আব্দুল্লাহকে ফোন দিলেন। কিন্তু এবার ছেলের নাম্বারটি বন্ধ পেলেন। কয়েকবার ট্রাই করলেন। একই কথা, নাম্বার বন্ধ। রহমান মোল্লার বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো! মনে মনে বলতে লাগলেন... "কোনো বিপদ হলোনা তো! আল্লাহ্ তুমিই হেফাজতকারী। আমার ছেলেকে রক্ষা করো।"
.
একটু পরেই রহমান মোল্লার ছোট ছেলে দৌড়ে এসে বাবাকে বললো...
--আব্বা, টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছে, পদ্মা নদীতে দুইশত যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে! ভাইজানের নাম্বার তো বন্ধ পাচ্ছি..!
.
রহমান মোল্লা এই খবর শোনার পর তার হাত পা ঠান্ডা হতে লাগলো। চোখে যেন সবকিছু ঝাপসা দেখছেন! তার স্ত্রী কাঁন্নাকাটি শুরু করে দিলো। আনন্দ মুখোর পুরো বাড়িটা যেন এক নিমেষেই স্তব্ধ হয়ে গেল।
.
রহমান মোল্লা আব্দুল্লাহর নাম্বারটি আর খোলা পেলেননা। কোনো উপায় না পেয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে গেলেন আব্দুল্লাহকে খুঁজতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন আব্দুল্লাহ্ যে বাসে আসতেছিলো সেই বাসের সব যাত্রী ঐ লঞ্চেই ছিল। শতশত স্বজনদের কাঁন্নায় পদ্মার পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিলো। রহমান মোল্লার মনটা জেনে গিয়েছিলো তার ছেলে আর বেচেঁ নেই। এখন যেন ছেলের লাশটা খুঁজে পায় সেই আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলেন। অবশেষে ছেলের লাশ ডুবুরিরা টেনে তুললো। ছেলের লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন।
.
বাড়িতে কাঁন্নার রোল পড়ে গেল। আব্দুল্লাহর মা চিৎকার করে কাঁদছে আর বার বার মুর্ছা যাচ্ছে। রহমান মোল্লা তার স্ত্রীর মত চিৎকার করে কাঁদতে পারছেননা। দুচোখ বেয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে। আর বুকের ভেতরটা ভেঙেচুরে যাচ্ছে।
.
আসলে "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ" এর চেয়ে বড় কষ্ট আর পৃথিবীতে নেই। রহমান মোল্লার কষ্ট এখানেই শেষ নয়। তার ছোট ছেলে নাজিমও বছর দুয়েক পরে একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রহমান মোল্লা কেমন করে সহ্য করবেন এত বড় কষ্ট! দুই বছরের ব্যাবধানে তরতাজা দুই দুইটা জোয়ান ছেলের লাশ তিনি কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছেন। সে শুধু চোখের পানি ফেলছেন আর আল্লাহকে বলছেন.. "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
ঠিক এমনই এক বাবাকে আমি চিনি। যে তার দুই দুইটা সন্তানের লাশ নিজে কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছে। তরপর তার মুখ থেকে ঠিক ঐ কথাগুলোই শুনেছিলাম... "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
এটা চিরন্তন সত্য যে, আল্লাহ্ তায়ালা তার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। তিনি এক এক জনকে বিভিন্ন ভাবে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।
.
এই পৃথিবীতে এমন অনেক বাবা আছেন। যারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী কষ্টটি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। কতটা ভারী হতে পারে এই কষ্ট, তা শুধু সেই বাবা'ই অনুভব করেছেন। যে বাবা তার সন্তানের লাশ নিজের কাঁধে বহন করেছেন। আর কেউ জানেনা, আর কেউ অনুভব করতে পারেনা এটা কত বড় কষ্টের, কত বড় বেদনার... "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ!"
(সমাপ্ত)
•••
✍Ramzan Khondaker
...
--হ্যালো আব্বা, আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--আব্বা, আমি এখন বাসের মধ্যে। পাঁচ মিনিট আগে বাস ছাড়ছে।
--বাসে সিট পেয়েছিস তো বাবা?
--জ্বী আব্বা, পেয়েছি। দোয়া করবেন, যেন ঠিকঠাক বাড়ি পৌছাতে পারি।
--ফি-আমানিল্লাহ
--মাকে বইলেন আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছি। তাহলে এখন রাখছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
আব্দুল্লাহ্ আজ ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। নতুন চাকরি পেয়েছে, একটা প্রাইভেট ব্যাংকে। রমজান ঈদের পরপরই জয়েন্ট করেছে সে। আব্দুল্লাহ্ ছোট বেলা থেকেই খুব পরহেজগার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। মাদ্রাসা থেকেই পড়ালেখা শেষ করেছে। চাকরি পাবার পর এই প্রথম সে বাড়ি যাচ্ছে। তাই সবার জন্যই ঈদের কেনাকাটা করেছে। আব্দুল্লাহর মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। কখন সে বাড়ি পৌছাবে! অনেকদিন পর বাবা, মা, ছোট ভাইকে দেখবে। শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে, তাড়াতাড়ি পথ ফুরায়না কেন!
.
এদিকে আব্দুল্লাহর বাবা রহমান মোল্লা খুশিতে যেন আত্মহারা। আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল্লাহর মাকে ডেকে বলছেন...
--শুনছো! তোমার বড় ছেলে বাড়ির ঈদ্দেশ্যে রওয়ানা দিছে। একটা মোরোগ ধরে জবাই করে দেই। খুব সুন্দর করে রান্না করো। ছেলেটা কতদিন তোমার হাতের রান্না খায়না!
.
--এই নাজিম (রহমান মোল্লার ছোট ছেলে), কই গেলি?
--এইতো আব্বা, এখানে আমি।
--তাড়াতাড়ি এদিকে আয়। একটা মোরগ ধরতে হবে। তোর ভাইজান বাড়ি আসছে আজ।
--জ্বী আব্বা, আসছি।
.
রহমান মোল্লা খুবই ধার্মিক। ছেলেদেরও বড় করেছেন সেইভাবে। ওজু করে যোহরের নামাজ পড়তে যাবে এমন সময় তার স্ত্রীকে বলছেন...
--শোনো, ছেলেতো আল্লাহর রহমতে চাকরি পেল। এখন একটা ভাল পরহেজগার মেয়ে দেখে বিয়ে দেয়া দরকার।
--এত অস্থির হইয়েননা তো। ছেলেটা মাত্র চাকরি পেল। দুই এক বছর যেতে দেননা..!
.
বাবা কিছুক্ষন পর পর ফোন দিচ্ছেন ছেলেকে। কতদুর এলো! এখন কোথায়! শুধু খোঁজ নিচ্ছে। যোহরের নামাজ পড়ে এসে আবার ফোন দিয়ে আগেই সালাম দিলেন...
--আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়াআলাইকুম আসসালাম।
--এখন কোথায় বাবা?
--এইতো আব্বা, লঞ্চের মধ্যে, পদ্মা নদী পার হচ্ছি।
--আচ্ছা বাবা, দেখে শুনে আসিস। আল্লাহ্ হাফেজ।
--আল্লাহ্ হাফেজ।
.
রহমান মোল্লা ছেলেকে নিয়ে দুপুরের খাবার একসাথে খাবেন, তাই তিনি এখন ছেলের পথপানে চেয়ে আছে..! কিছুক্ষন পর তিনি আবার আব্দুল্লাহকে ফোন দিলেন। কিন্তু এবার ছেলের নাম্বারটি বন্ধ পেলেন। কয়েকবার ট্রাই করলেন। একই কথা, নাম্বার বন্ধ। রহমান মোল্লার বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো! মনে মনে বলতে লাগলেন... "কোনো বিপদ হলোনা তো! আল্লাহ্ তুমিই হেফাজতকারী। আমার ছেলেকে রক্ষা করো।"
.
একটু পরেই রহমান মোল্লার ছোট ছেলে দৌড়ে এসে বাবাকে বললো...
--আব্বা, টিভিতে ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছে, পদ্মা নদীতে দুইশত যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে! ভাইজানের নাম্বার তো বন্ধ পাচ্ছি..!
.
রহমান মোল্লা এই খবর শোনার পর তার হাত পা ঠান্ডা হতে লাগলো। চোখে যেন সবকিছু ঝাপসা দেখছেন! তার স্ত্রী কাঁন্নাকাটি শুরু করে দিলো। আনন্দ মুখোর পুরো বাড়িটা যেন এক নিমেষেই স্তব্ধ হয়ে গেল।
.
রহমান মোল্লা আব্দুল্লাহর নাম্বারটি আর খোলা পেলেননা। কোনো উপায় না পেয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে গেলেন আব্দুল্লাহকে খুঁজতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন আব্দুল্লাহ্ যে বাসে আসতেছিলো সেই বাসের সব যাত্রী ঐ লঞ্চেই ছিল। শতশত স্বজনদের কাঁন্নায় পদ্মার পাড়ের বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিলো। রহমান মোল্লার মনটা জেনে গিয়েছিলো তার ছেলে আর বেচেঁ নেই। এখন যেন ছেলের লাশটা খুঁজে পায় সেই আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলেন। অবশেষে ছেলের লাশ ডুবুরিরা টেনে তুললো। ছেলের লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন।
.
বাড়িতে কাঁন্নার রোল পড়ে গেল। আব্দুল্লাহর মা চিৎকার করে কাঁদছে আর বার বার মুর্ছা যাচ্ছে। রহমান মোল্লা তার স্ত্রীর মত চিৎকার করে কাঁদতে পারছেননা। দুচোখ বেয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে। আর বুকের ভেতরটা ভেঙেচুরে যাচ্ছে।
.
আসলে "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ" এর চেয়ে বড় কষ্ট আর পৃথিবীতে নেই। রহমান মোল্লার কষ্ট এখানেই শেষ নয়। তার ছোট ছেলে নাজিমও বছর দুয়েক পরে একটা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রহমান মোল্লা কেমন করে সহ্য করবেন এত বড় কষ্ট! দুই বছরের ব্যাবধানে তরতাজা দুই দুইটা জোয়ান ছেলের লাশ তিনি কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছেন। সে শুধু চোখের পানি ফেলছেন আর আল্লাহকে বলছেন.. "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
ঠিক এমনই এক বাবাকে আমি চিনি। যে তার দুই দুইটা সন্তানের লাশ নিজে কাঁধে নিয়ে নিজের হাতে কবর দিয়েছে। তরপর তার মুখ থেকে ঠিক ঐ কথাগুলোই শুনেছিলাম... "হে আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছো পরীক্ষার জন্য। কিন্তু আমাকে তুমি এ কোন পরীক্ষা নিচ্ছো? আমাকে তুমি সহ্য করার শক্তি দাও।"
.
এটা চিরন্তন সত্য যে, আল্লাহ্ তায়ালা তার বান্দাদের এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। তিনি এক এক জনকে বিভিন্ন ভাবে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।
.
এই পৃথিবীতে এমন অনেক বাবা আছেন। যারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী কষ্টটি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। কতটা ভারী হতে পারে এই কষ্ট, তা শুধু সেই বাবা'ই অনুভব করেছেন। যে বাবা তার সন্তানের লাশ নিজের কাঁধে বহন করেছেন। আর কেউ জানেনা, আর কেউ অনুভব করতে পারেনা এটা কত বড় কষ্টের, কত বড় বেদনার... "বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ!"
(সমাপ্ত)
•••
✍Ramzan Khondaker
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন